Monday 18 December 2017

How times have changed!



বিখ্যাত অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার তার নিজের সুবিখ্যাত ব্রোঞ্জ মূর্তির সামনে নিদ্রিত অবস্থার একটা ফটো পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লিখেন- "সময় কীভাবে বদলায়!"

তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন বলে এই বাক্যটি লেখেননি। তার এই ব্রোঞ্জ মূর্তিটি এই হোটেলটির সামনে যখন স্থাপন করা হয় তখন তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ছিলেন এবং তিনিই হোটেলটি উদ্বোধন করেন। হোটেলের কর্মচারীরা তাকে সম্মানের সাথে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলো, যে কোন সময় আপনি এই হোটেলে এলে আপনার জন্য একটি সংরক্ষিত কক্ষ থাকবে।

পরবর্তীতে আর্নল্ড সেই হোটেলে গেলে তাকে হোটেল প্রশাসন থেকে বলা হয় যে, এই মুহূর্তে কোন ঘর খালি নেই তাই আপনাকে আমাদের ফেরাতে হচ্ছে। তিনি তখন একটি স্লিপিং জ্যাকেট এনে তার মূর্তির নীচে ঘুমিয়ে পড়েন এবং তার এই অবস্থা কল্পনা করার অনুরোধ করেন অন্যদের। ততদিনে শোয়ার্জনেগার আর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নন।

তিনি এটাই বলতে চেষ্টা করেছেন যে, মানুষ যখন তার অবস্থানে থাকে তখন মূল্যায়িত হয়, অন্যথায় নয়। সময় বদলায়। নিজের অবস্থান, ক্ষমতা বা বুদ্ধিমত্তার উপর অতিরিক্ত আস্থাবান হওয়া উচিত নয় কারোরই। স্থায়ী বলে কিছু নেই পৃথিবীতে...।
" চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়,, "
" কেউ থাকবে না যেখানে সে ছিলো,
নিজেই জানে না কেন সরে গেলো..... 

আমার অনুরোধঃ গল্পটি সত্য মিথ্যা যাচাই না করে গল্পটি থেকে শিক্ষা গ্রহন করুন। 

 schwarzenegger



মূল পোষ্টটি দেখুন এখান থেকে... 
বিখ্যাত অভিনেতা হলিউড আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। তার ধুন্ধুমার অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমাগুলো ভক্তদের মনে এখনো দাগ কেটে আছে। শোয়ার্জনেগার শুধু একজন তারকাই নন তিনি একজন রাজনীতিবিদও বটে। ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এককালের গভর্নর ও মেগাস্টার শোয়ার্জনেগারকে ঘুমাতে হবে রাস্তায় সেটা কি কেউ কখনো ভেবেছিল।

নিজের সুবিখ্যাত ব্রোঞ্জ মূর্তির সামনে ঘুমন্ত অবস্থার একটা ছবি শোয়ার্জনেগার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করেছিলেন। ক্যাপশন লিখেন- ‘সময় কীভাবে বদলায়!’ যদিও শোয়র্জনেগার ছবিটা ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পোস্ট করেছিলেন কিন্তু এখনো সেটি ভাইরাল হওয়া বন্ধ হয় নি। শুধুমাত্র শোয়ার্জনেগারের ফেসবুক আইডি থেকেই ছবিটি ৭৪হাজার ৫০৩ বার শেয়ার হয়েছে। সেখান থেকে ছবিটি আরো ছড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে শোয়ার্জনেগারের সেই চার শব্দকে বিভিন্ন গণমাধ্যম রংচং চড়িয়ে একটি গল্প লেখা শুরু করে দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়,

কিন্তু গল্পটি যে সত্য নয় সেটাও পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে। প্রথমত ৮ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যটি কোন হোটেল নয় বরং ওহাইয়োর গ্রেটার কলম্বাস কনভেনশন সেন্টারের সামনে অবস্থিত। দ্বিতীয়ত, ছবিটি দিয়ে শোয়ার্জনেগার মাত্র চারশব্দ দিয়েই একটি ক্যাপশন দিয়েছিলেন সেখানে কোন গল্পও বলা ছিলনা। তারপরো যারা বিশ্বাস করেনা তাদের জন্য বলা প্রয়োজন শোয়ার্জনেগার পৃথীবির অন্যতম ধনী অভিনেতা যিনি তার দানশীলতার জন্য বিখ্যাত।


No comments:

Post a Comment

Attention: You can give your advice and opinion only this comment box. But do not try to any kind of spamming.